Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
আজাদের সাফল্য
ডাউনলোড

কুষ্টিয়া জেলার কুষ্টিয়া সদর উপজেলাধীন। মজমপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত: ইসমাইল হোসেন, মাতা মোছাঃ খালেদা বেগমের পুত্র।আমার পিতার মারা যাওয়ার পর আমাদের সংসারে অভাব নেমে আসে। আমাদের ৩ ভাই ও ১ বোনকে নিয়ে অসহায়ভাবে দিন যাপন করিতেছিলাম। আমার মা ছিল একজন গৃহিনী। সংসারে উপার্জনের  কেউ ছিল না। আমার মা বাধ্য হয়ে নানার বাড়িতে চলে আসে, সেই সময়ে মামাদের সংসার তেমন সচ্ছল ছিল না। মা কোন উপায় না পেয়ে আমাকে বড় খালার বাসায় রেখে আসে যাতে আমি স্কুলে যাই এবং পড়াশোনা করতে পারি এই শর্তে বাড়িতে রেখে আসে। কিছু দিন স্কুলে যাওয়ার পর আমাকে বাড়ির অন্যান্য কাজ করার কারণে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থা দেখে মা আমাকে আবার নানার বাড়িতে নিয়ে আসে। আমার মার ইচ্ছা আমাকে পড়াশোনা করাবেন কিন্তু সংসারে অভাবের কারণে তা সম্ভব হচ্ছিল না। ঠিক সেই সময়ে আমার বাবার ছোট বেলার বন্ধু সমাজসেবা অধিদফতরাধীন সরকারী শিশু সদন (বালক), কুষ্টিয়ার (এতিমখানার) কার্যক্রম বিষয়ে অবহিত করেন মা ও মামাকে । আমার সেই চাচার সহযোগিতায় সরকারী শিশু সদন (বালক), কুষ্টিয়ায় ভর্তি হই। সদনে ভর্তি হওয়ার পর সদনের পরিবেশে খাপ খাওয়ানো আমার জন্য খুবই কঠিন ছিল। সদনের স্যার এবং খালাম্মাদের আন্তরিক তত্ত্বাবধানের কারণে আমি সদনে অবস্থান করতে থাকি, সদনের থাকার দরুন মানুষের মৌলিক চাহিদা সমূহ ভোগ করতে পারি।সদনে থাকার কারণে আমি আমার পড়াশোনা পুনরায় শুরু করি এবং সদন থেকে ৫ টি লেটার নিয়ে এসএসসি পাশের মাধ্যমে পূর্নবাসিত হই । সদন থেকে বের হওয়ার পর ডিল্পোমা ইন -ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করি এবং সমাজসেবা অধিদফতরাধীন সরকারি শিশু পরিবার (বালক), কুষ্টিয়ায় কারিগরী প্রশিক্ষক হিসেবে কর্ম জীবন অতিবাহিত করছি। সরকারী শিশু সদনে না আসলে আমি আমার জীবনের মৌলিক চাহিদা সমূহ পূরণ হত না, ফলে আমার জীবন দূর্বিসহ হয়ে উঠত, গ্রামের অন্যান্য  ছেলেদের মতো আমার জীবন হতো অন্ধকারাচ্ছন্ন। আমি সমাজসেবা অধিদফতরাধীন সরকারী শিশু সদন (বালক), কুষ্টিয়ার প্রতি চির কৃতজ্ঞ অর্থাৎ সমাজসেবা অধিদফতরের কাছে চির কৃতজ্ঞ ।